ল্যাপারোস্কপি ও এন্ডোসকপি পদ্ধতি ব্যবহার করে এটি ভারতের এক রোগীর দেহ থেকে কিডনির পাথর অপসারণের রেকর্ড। এসব পাথর অপসারণে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বাসাবারাজ মাদিওয়ালার নামের রোগী এখন সুস্থ এবং নিয়মিত রুটিনে ফিরে গেছেন। তাকে প্রীতি ইউরোলজি অ্যান্ড কিডনি হাপসাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরীক্ষায় তার দেহে বিপুল সংখ্যক কিডনি পাথরের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
চিকিৎসকরা জানান, রোগীর অ্যাক্টোপিক কিডনিও ছিল, কারণ এটি মূত্রনালীর স্বাভাবিক অবস্থানের পরিবর্তে তার পেটের কাছে অবস্থিত ছিল। স্বাভাবিক স্থানে কিডনি না থাকলেও তা সমস্যা ছিল না। কিন্তু কিডনির পাথর অস্বাভাবিক স্থানে থাকায় সেগুলো অপসারণ করা ছিল জটিল কাজ।
হাসপাতালের পরিচালক ও ইউরোলজিস্ট ডা. ভি চন্দ্র মোহন বলেন, দুই বছর ধরে হয়ত রোগীর দেহে এসব কিডনির পাথর তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু অতীতে তার কখনও কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি। একদিন হুট করে ব্যথার কারণে তাকে সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষঅ করতে হয়। এতে কিডনিতে পাথরের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, রোগীর স্বাস্থ্য পর্যালোচনার পর আমরা বড় অস্ত্রোপচারের বদলে পাথর অপসারণে ল্যাপারোস্কপি ও এন্ডোসকপি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেই।