পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানের ইনিংসকে সামাল দেন ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। পঞ্চম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে বিদায় নিয়েছেন ফখর জামান। ১৫তম ওভারে তাসকিনের করা দ্বিতীয় বলে ৩৪ রান করে আউট হন ফখর।
সেই ফাখর জামানকে অবশেষে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাসকিন আহমেদ। আউট সুইঙ্গার বলটি ফাখর জামানের ব্যাটে লেগে চলে যায় সোহানের হাতে। ৩৬ বলে খেলা ৩৪ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে সেখানে।
টস জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ভালো শুরু পেলো না বাংলাদেশ। নতুন ওপেনার সাইফ হাসানের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি বড় করতে পারেননি নাঈম। দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর প্রথম বলে রিজওয়ানের তালুবন্দী হন তিনি। ফেরার আগে টাইগার ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
সাইফ হাসানের অভিষেকটা লম্বা হয়নি বেশি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন এই ওপেনার। তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান। উইকেটের মিছিল যেন থামছেই না। সাইফ ও নাঈমের পর সাজঘরে ফিরেছেন নাজমুলও। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে মারতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনি। টাইগারদের আরো হতাশ করে ফেরার আগে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৭ রান। বিশ্বকাপের ব্যর্থতা দেশেও টেনে এনেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫ রান তুলেছে টাইগাররা।
তিন উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের বোলিংয়ের কাছে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ভরসা খুঁজছিল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। কিন্তু টাইগার অধিনায়ককে মাত্র ৬ রানেই থামিয়ে দিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে একা লড়াই করছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ইনিংস বড় করার আগে ৩৪ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। শাদাব খানের গুগলিতে স্টাম্পড হন আফিফ।
আফিফের মতোই আশা জাগিয়ে ফিরলেন নুরুলও। ১৭তম ওভারে হাসান আলীকে এনে নুরুলকে ফেরালো পাকিস্তান। হাসান আলীর বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ বলে ২ ছক্কায় ২৮ রান করেন নুরুল।
১৮তম ওভারে এসে ১০০ রান পার করে বাংলাদেশ। হ্যারিসের করা ওভারের পঞ্চম বলে এক রান নেন ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আমিনুল, তাতেই বাংলাদেশের হলো ১০০।
আগের ওভারে নুরুলকে ফেরানো হাসান আলীকে ওভারের প্রথম বলে বিশাল ছক্কা মারেন মেহেদী হাসান। ওভারের চতুর্থ বলে আমিনুলকে বোল্ড করেন হাসান আলী। ৫ বল খেলে ২ রান করে হাসান আলীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
শেষ দিকে দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান। ২০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় তিনি অপরাজিত ৩০ রান করেন। আর শেষ বলে হ্যারিস রউফকে ছক্কা মেরে দলীয় স্কোর ১২৭ রানে নিয়ে যান তাসকিন।
বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে থাকা হাসান আলী এদিন ২২ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি, নাওয়াজ ও শাদাব খান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।
বাংলাদেশ একাদশ:
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, হায়দার আলী, শোয়েব মালিক, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান আলী, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ।