গ্রেফতাররা হলেন রংপুর সদর কোতোয়ালি থানা এলাকার মহেষপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা (২৮), একই গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে আল-আমিন (১৯), মিঠাপুকুরের রুপসী গাছুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইদুল হকের ছেলে মোছাদ্দেক হোসেন (২০) ও গাইবান্ধার সাদুল্লাহ্পুরের ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে পুলিশ সদস্য মাসুদার রহমান মাসুদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ দেশব্যাপী পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তা ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রংপুরে প্রতারক চক্রটি সংক্রিয় হয়ে ওঠে। এ চক্রটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে জেলা পুলিশকে ডিও লেটার দেয়।
বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে জেলা গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অনুসন্ধানে নামেন। গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করা ডিও লেটারসহ প্রয়োজনীয় ভুয়া কাগজপত্র, ছবি জব্দ করেছে পুলিশ।
চক্রটি চাকরিপ্রত্যাশী আল-আমিনকে পুলিশের কনস্টেবল পদে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নিয়োগ প্রদানের নিশ্চয়তা দেন। পরে জালিয়াতি এ চক্রের অন্যতম হোতা মাসুদার রহমান মাসুদের কথামতো আল-আমিন ঢাকায় গিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থাকা চক্রের অজ্ঞাত সদস্যদের কাছ থেকে মুখবন্ধ একটি খাকি খাম গ্রহণ করেন। এভাবে মাসুদ বিভিন্নজনের সঙ্গে পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাক্ষর জালিয়াতি ও মূল্যবান জামানত জাল করে আসছিলেন।
গ্রেফতার চারজনসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলাটি তদন্তের ভার কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিনকে দেওয়া হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে জানান, জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ডিও লেটার তৈরির অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।