টুর্নামেন্টে ব্যাট ও বল হাতে নিজেকে মেলে ধরে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেছেন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তক সংস্থা আইসিসি বুধবার র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবিকে পেছনে ফেলে আবার শীর্ষে উঠেছেন সাকিব।
ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ড সিরিজে জ্বলে উঠতে না পেরে শীর্ষস্থান হারান সাকিব। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল তিনি। এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ ১১ উইকেট তার, গড় ৬.৪৫। ব্যাটে হাতে ১১৮ রান করে আছেন রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনে।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে তার রেটিং পয়েন্ট ২০ বেড়ে এখন ২৯৫। দুইয়ে থাকা নবির রেটিং পয়েন্টে কমে ২৮৫ থেকে ২৭৫ এ দাঁড়িয়েছে।
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের তালিকায় উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলেরও। তিন ধাপ এগিয়ে তিনি আছেন তিনে। তার সঙ্গে যৌথভাবে একই অবস্থানে নামিবিয়ার জেজে স্মিট, তিনি এগিয়েছেন ২৩ ধাপ।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের দাভিদ মালান। দুইয়ে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলেন দারুণ ইনিংস। তাতে ৮৩১ রেটিং পয়েন্টে থাকা মালানের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন তিনি, বাবরের পয়েন্ট এখন ৮২০।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪০ রানের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মারক্রাম। আট ধাপ উপরে উঠেছেন তিনে আছেন তিনি। ভারতকে হারানো ম্যাচে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৩৩। এই পাকিস্তানি এগিয়েছেন ৩ ধাপ, আছেন চারে।
পঞ্চম স্থানে আছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি করার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে আগের মতোই শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি। উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের শেখ মেহেদি হাসান, পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ এবং অস্ট্রেলিয়ার জশ হেইজেলউডের।
আসরে এখন পর্যন্ত ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদি ১১ ধাপ এগিয়ে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন সেরা দশে। এই স্পিনার আছেন ৯ নম্বরে। তার আগের স্থানে সাকিব ও পরে মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করা আফ্রিদিও ১১ ধাপ উঠে জায়গা করে নিয়েছেন ১২তম স্থানে। নিউ জিল্যান্ড ম্যাচের সেরা রউফ ৩৪ ধাপ এগিয়ে আছেন ১৭ নম্বরে। ১৬ ধাপ এগিয়ে তার পরের অবস্থানে আছেন হেইজেলউড।