মামলা বিবরণে জানা যায়- তানিশা তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দি গ্রামের আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য খাজা শেখের কন্যা। স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হবার পর খাজা শেখ ফকিরহাট উপজেলার আট্রাকি গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত হোসেন আলী শেখের মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন।
বিয়ে করার পর মুক্তার সাথে খাজার মতের দন্দ শুরু হয়। মুক্তা মোবাইলে বেশি ব্যাস্ত থাকত। ফেইসবুক ইমো ব্যবহার করে বিভিন্ন লোকের সাথে সাথে কথা বলত। এই নিয়ে মুক্তার উপর খাজার সন্দেহ শুরু হয়। মুক্তা তানিশাকে নিয়ে ঘুমাতো। গত ২ এপ্রিল ফেসবুক এ এক ব্যক্তির সঙ্গে সর্ম্পক্য হওয়ায় ও কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ বাঁধে। খাজা শেখ মুক্তাকে তালাক দিবে ও সকল মানুষকে বিষয় টি জানিয়ে দিবে হুমকি দেয়। ওই সময়ই মুক্তা প্রতিশোধ নিতে তানিশাকে হত্যা করবে পরিকল্পনা করে।
গত ৫ এপ্রিল রাতে ৯টার দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে শিশু তানিয়ার উপর দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘাড়ে ও মাথায় কোপ দিতে থাকে। চিৎকার এর শব্দ শুনে তানিশার দাদি দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু মুক্তা দরজা খোলেননি। পরে তানিশার চাচা রাজু শেখ বাড়ি এসে দরজা খুলতে বললে মুক্তা বাইরে বের হন। ঘরে ঢুকে তানিশার নিথর দেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানকার চিকিৎসক শিশু তানিশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানিশার দাদা আবুল বাশার শেখ এ ঘটনায় মুক্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ৩১ মে মামলার তদন্ত শেষে কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম মুক্তাকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৩ জন বেক্তি সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।