এই শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক কিশোরের (১৪) বিরুদ্ধে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোর তৎপরতা শুরু করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী ওই কিশোর খেলার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণ’ করে। পরে রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটি অসুস্থ হয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত কিশোর পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বিশ্বজিৎ নামে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে বাড়িতে ডেকে শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পরিবার। অবস্থা গুরুতর দেখে ওই চিকিৎসক শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে, ভুক্তভোগী শিশু ও অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও রমনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়া ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে ঘটনাটি মীমাংসার পরামর্শ দেন। উভয় পরিবারকে নিয়ে তিনি ঘটনাটি সমাধান করে দেবেন বলেও জানান।
ভুক্তভোগী শিশুর ভাই জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে বলেছেন। তারাও চান বিষয়টি মীমাংসা হোক। এ নিয়ে তারা কোনও ঝামেলা বাড়াতে চান না বলেও জানান তিনি।