সোমবার কেয়া খাতুন (২৬) নামে এক তরুণীর শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেয় শামীম। কেয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা লুৎফর মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার এসএএফ চামড়া কারখানায় কাজ করার সুবাদে গ্রামতলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কেয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাফরপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে শামীমের। এরপর থেকেই স্বামী পরিত্যক্তা কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল শামীম। কিন্তু এতে রাজি হচ্ছিলেন না ওই তরুণী। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই যুবক।
সোমবার দুপুরে খাওয়ার পর কেয়া কারখানার মধ্যেই বিশ্রাম করছিলেন। এ সময় শামীম কারখানার ড্রাম থেকে অ্যাসিড নিয়ে কেয়ার শরীরে ঢেলে দেয় এবং রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।
লুৎফর মজুমদার বলেন, ‘শামীম দীর্ঘদিন ধরে তার ভাগ্নিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে তারা রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কেয়ার শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেয় ওই যুবক। এতে তার ভাগ্নি দগ্ধ হয়ে মারা যান।’
অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, অ্যাসিড ছুড়ে তরুণীকে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে শামীম। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।