মঙ্গলবার পরিবার ও এলাকাবাসীর অশ্রুজলে তাকে বিদায় জানানো হয়। ফাহাদ পঞ্চগড় শহরের উত্তর জালাসী এলাকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক প্রামাণিকের ছেলে। তিনি ব্যারিষ্টারি পড়তে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল শহরে একটি বাড়িতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন ফাহাদ। পরদিন পুলিশ ওই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ফাহাদসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের মাধ্যমে ফাহাদের খুন হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পুলিশ ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার রাতে হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর তার লাশ পঞ্চগড়ে তার বাড়িতে পৌঁছায়। ফাহাদের লাশ আসার পর এক হদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, পঞ্চগড় বিষ্ণু প্রসাদ (বিপি) সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি পাস করেন ফাহাদ। এরপর ঢাকার ভূঁইয়া একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ভালো আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। পরে ‘ব্যারিস্টার অ্যাট ল’ ডিগ্রি নিতে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান ফাহাদ। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি জরুরি কোভিড সেবা বিভাগে একটি চাকরিও করছিলেন।
ফাহাদের বড় বোন নিলুফা ইসলাম বলেন, সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর ফোনে ফাহাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। অত্যন্ত সহজ সরল ছেলে ছিল ফাহাদ। বিদেশে থাকলেও দেশের কারও অসুস্থতার কথা শুনলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করত।
গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের ব্রিকলেন জামে মসজিদে ফাহাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লাশটি বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ হাইকমিশন।