মঙ্গলবার অতিরিক্তি জেলা ও দায়ারা জজ ১ম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা।
মৃতুদন্ড প্রাপ্ত আবুল কালাম আটক আছে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে যশোরের র্যাব-৬ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বেনাপোল থেকে ফিরোজা কার্গো গাড়িতে ফেনসিডিল নিয়ে যশোরের দিকে আসছে।
সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করে।
সকাল ৮টার দিকে ফিরোজা কার্গো গাড়িটি চেকপোস্টে আসলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তার ভিতর থেকে ২২৪৬ বোতল ভারতীয় আদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার ওই তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে ডিএডি আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে তিনজনকে আসমি করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তৎকালিন এসআই মাফুজুল হক এজাহারনামীয় তিনিজনকে অভিযুক্ত করে আদলতে চার্জশিট জমা দেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদÐ প্রাপ্ত ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও গোলাম মাওলা পলাতক রয়েছে।