শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে পড়ে বিস্ফোরিত হলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। প্রায় একঘণ্টার মধ্যে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। তবে বাসের যাত্রীরা কেউ হতাহত হননি।
নিহত মেহেদী হাসান বিজিবি সদস্য বলে জানা গেছে। তিনি খুলনার বয়রা এলাকার মেডিকেল কলেজ স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মেহেদী হাসান ছুটি শেষে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে চুয়াডাঙ্গায় যাচ্ছিলেন। এ সময় সামনে থেকে আসা হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি তাকে চাপা দেয়। এতে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় বাসটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার মোটরসাইকেলটি বাসের সঙ্গে বেঁধে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে চাউলিয়া নামক স্থানে চলে গেলে বাসে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন বাসটিতে ছড়িয়ে পড়ে। চালকসহ যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে যান।
পরে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর যশোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। তার আগেই বাসটি সম্পুর্ণ পুড়ে যায়।
যশোর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এসে দেখি আগুন জ্বলছে। দ্রুত গতিতে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করি।