তিনি বলেন, সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা. মুরাদকে সংসদ ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং প্রকাশ্যে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়। সভায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘অবৈধ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জিয়া পরিবারের সদস্য বিশেষ করে নারী সদস্যদের নিয়ে যে চরম অশালীন, অরুচিকর রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত, মানহানিকর কুৎসিত বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও প্রতিবাদ করা হয়। সভা মনে করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে এই ধরনের নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, সমাজ বিরোধী বক্তব্য ও সংবিধান বিরোধী এই বক্তব্যের মাধ্যমে সমগ্র নারী সমাজ এবং মানবতাকে হেয় করা হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মুরাদের বিরুদ্ধে আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে আমাদের আইনজীবীরা কাজ করছে। তবে, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে না-কি অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা মহাসচিব জানাবেন।
এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। এতে তিনি মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাচ্ছিল্য করা ও ঢাবির নারী নেত্রীদের চরিত্র হননের অভিযোগ আনেন।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় অভিযোগের আবেদন করেন তারা।
শাহবাগ থানা সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার কম্পোজ করা অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। এটি এখনো জিডি বা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।
ঢাবি শিক্ষার্থীদের পক্ষে থানায় অভিযোগটি নিয়ে আসেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তিনি অভিযোগে বলেছেন, আমি গত ৫ ডিসেম্বর সলিমুল্লাহ হলের ২৬ নম্বর কক্ষে বসে একটি ভিডিও ক্লিপ দেখতে পাই। ভিডিওতে ডা. মুরাদ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্রাব করারও সময় আমার নাই’ বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে তাচ্ছিল্য করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীরা ‘হলে না থেকে পাঁচ তারকা হোটেলে রাত কাটায়’ বলে তাদের চরিত্র হনন করেছেন।
এই দুইটি বিষয় উল্লেখ করে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।