বিজ্ঞানীরা বলছেন, বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের পাশাপাশি বিরল ব্লাড মুন দেখার সুযোগ পাবে বিশ্ববাসী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চন্দ্রগ্রহণ দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ অংশ, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং অ্যান্টার্কটিকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দেখা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশ বা ভারত থেকে সেভাবে চোখে পড়বে না এই গ্রহণ।
“ব্লাড মুন” গ্রহণের আগে চাঁদ একটি লালচে আভা নির্গত করবে, এই কারণে বিজ্ঞানীরা এটিকে “ব্লাড মুন” নামে নামকরণ করেছে । এটি ঘটবে কারণ, এবার যখন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছাবে, তখন বেশিরভাগ নীল এবং সবুজ আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। তখন শুধু কমলা এবং লাল রঙগুলোই দৃশ্যমান থাকে। চাঁদ-সূর্য ও পৃথিবীর বিশেষ অবস্থানের কারণেই ব্লাড মুনের দেখা মিলবে।
ব্লাডমুন চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকাসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু অংশ থেকে। পূর্ণগ্রহণের সময় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট এবং আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এই গ্রহণ সরাসরি দেখাবে বলে জানা গেছে।
পৃথিবীর বহু দেশে চন্দ্রগ্রহণকে অশুভ বলেও মনে করা হয়। অনেক অঞ্চলে এদিন বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়।