কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে লড়তে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম।
জানা গেছে, নির্বাচনি প্রচারণার কেন্দ্র হিসেবে অফিসটি অস্থায়ীভাবে বানিয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম। লাইভ ভিডিওটিতে দেখা গেছে, সে অফিসে প্রবেশ করে আসবাবপত্র চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করছেন বাইজিদ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ছেন। ভিডিওটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে বাইজিদ রাগ, ক্ষোভ থেকে অফিস ভাঙচুর করেছে। আমি ঢাকায়, তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে কল ধরছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়ন নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক দেননি, সেটা নিয়ে আমার কোনও দুঃখ নেই। আমি দুলালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১৯ বছর ধরে সভাপতি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের তালিকায় আমার নাম এক নম্বরে ছিল।’
তার অভিযোগ, ‘উপজেলার কয়েকজন নেতার যোগসাজশে ব্রাহ্মণপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই বাণিজ্যের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ও গোলাম সরোয়ার জড়িত। তাদের কারণে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও দলীয় প্রতীক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ‘দুলালপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য মনিরুল ইসলামের নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল। তার জায়গায় যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তোফাজ্জল হোসেন নিক্সন। তিনি দুলালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে শেখ হাসিনা তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। মনিরুল ইসলাম মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন, সেটি একেবারে মিথ্যা কথা এর কোনও ভিত্তি নেই। শুনেছি তার ছেলে নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করেছে।