শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা জানান, হানিফ মিয়া বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। আর বাবা শহীদুল হক থাকেন বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে। আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রায়শই পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে কিছু জমি লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন হানিফ। কিন্তু আচরণ ভালো না হওয়ার কারণে বাবা তাকে কোনো সম্পত্তি লিখে দেননি।
এ কারণে বাবার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলো হানিফ। এটা নিয়ে বাবার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে হানিফ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবা শহীদুলকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে তার বাম হাতের কব্জি কেটে পড়ে যায়। এছাড়াও মাথায় গুরুতর জখম হয় তার। স্থানীয়রা শহীদুল হককে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক শফিউর রহমান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোগীর হাতের কব্জি কেটে পড়ে গেছে। এছাড়া মাথা থেকে ঘাড় বরাবর জখম রয়েছে। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুর আলম জানান, গুরুতর আহত শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। তার ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকে অভিযান চলছে।