প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সোহেল রহমান জানায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের বোতল ভেঙ্গে ড্রামে ঢেলে খোলা দরে বিক্রি করছে। বাজারে ভোজ্যতেলের এমন সংকট সৃষ্টি ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) যশোরের বড়বাজার, জামরুলতলা বাজার, পুলেরহাট বাজার, বাবলাতলা কাঁচাবাজার , রেল বাজার ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন- কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। পাবো কোথায়?
তবে তেল সরবরাহকারী কোম্পানির দাবি, তেল সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। খুচরা বিক্রেতারা তেল মজুত করায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। বড় বাজারের ত্রিনাথ স্টোরের মালিক ত্রিনাথ বলেন, ‘কোম্পানিগুলো প্রথম কয়েকদিন তেল দিয়েছে। এখন আর দিচ্ছে না। তবে খোলা তেল আছে ২১৫ টাকা কেজি।
বড় বাজারের এস এন এস স্টোরের মালিক শম্ভু নাথ বলেন, ‘ঈদের আগেই বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল শেষ হয়ে গেছে । সয়াবিন তেলের সঙ্গে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রথম কিছু মাল দিয়ে যাচ্ছিল। আর এখন বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছি না।’
বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রাবেয়া স্টোরের মালিক ইনতাজ আলী বলেন, বোতলজাত তেল কোম্পানির সরবরাহ নেই। খোলা তেল নিয়ে যান। কেন নেই, কবে থেকে নেই – এসব বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
রেল বাজারের বরুন পাল বলেন, বোতলের তেল কোথাও পাওয়া যাবে না, খোলা তেল ২১০ টাকা কেজি। চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজারের একজন ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা এই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। আমি বোতলের তেল না পেয়ে রাইস ব্রান্ড এর তেল কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
পুলেরহাট বাজারে বোতলজাত তেল ক্রয় করতে গিয়ে বাজার ঘুরে বোতলজাত তেল না পেয়ে বিদেশি প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল কবির জান্নাতুল এন্টারপ্রাইজে এসে দেখেন বোতলের তেল ড্রামে ঢেলে রাখছে। বার বার অনুরোধ করা শর্তেও পর্তা হবে না বলে ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ ঢেলে রাখেন বলে জানান ইকবাল কবির।
তবে তেল সরবরাহ করা কোম্পানিগুলোর দাবি- পরে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে পারে, এ আশায় খুচরা বিক্রেতারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছে, বোতলের গায়ের দামের চেয়ে খোলা তেল কেজি দরে বিক্রি করে বেশি লাভের আসায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে খোলা তেল বেশি দামে বিক্রি করছে।
এ অবস্থায় ক্রেতা সাধারণ চরম বিপাকে পড়েছে।