শুভ দাস ওই এলাকার সুব্রত দাসের ছেলে। চাটমোহর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাটমোহর মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি ও হিন্দি সিনেমার ভিডিও ক্লিপ পোস্ট দেন শুভ। এর মধ্যে শেষ একটি ছবি আপলোড করে ইংরেজিতে ক্যাপশন লেখেন, ‘দি এন্ড’।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে শুভর বাবা কর্মস্থলে এবং মা শুভ্রা দাস বাড়ির পাশে বাজারে কেনাকাটা করতে যান। সন্ধ্যার পর মোবাইল ফোনে কল করে তার কোনও সাড়া না পেয়ে বাড়িতে এসে গেট বন্ধ দেখেন সুব্রত দাস। এর মধ্যে বাজার থেকে ফেরেন তার মা।
ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন সুব্রত। এ সময় ঘরের আড়া গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার বলছে, এক তরুণীর সঙ্গে শুভর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি দুই জনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় শুভ। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থ হয়।
চাটমোহর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি প্রেমঘটিত কারণে শুভ আত্মহত্যা করতে পারে। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাসও দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।