৫ জুলাই সোমবার সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ঘোষনগর আসামীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত প্রতারক উক্ত গ্রামের সুবোধ ঘোষের ছেলে প্রদীপ কুমার ঘোষ ওরফে সঞ্জিত ঘোষ ওরফে সৌম্মদীপ ঘোষ ওরফে সুশান্ত ঘোষ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফেসবুক আইডি https:// www. facebook. com/ soumodip. ghosh.775-এর মাধ্যমে জার্মান প্রবাসী পরিচয় দিয়ে জমি ক্রয়ের কথা বলে প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রাণী দাস এর নিকট হইতে প্রতারক প্রদীপ কুমার ঘোষ (৫১) জুন মাসের বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ক্যাশে, বিকাশে এবং চেকের মাধ্যমে ২০,৩০,০০০/-(বিশ লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করেন। নিজেকে Soumodip Ghosh (susanto ghosh) নামে পরিচয় দিয়ে প্রতারনার ফাঁদ পাতে প্রতারক। জমির দলিল তৈরী করার নামে প্রধান শিক্ষিকার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি-২ কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি-৩ কপি, নন-জুডিশিয়াল ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক-০৩টি নিয়ে যায় প্রতারক। বাদী কর্তৃক বর্ণিত আত্মসাৎকৃত টাকা ও স্বাক্ষরিত খালি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, চেক বহির স্বাক্ষরিত পাতা, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি উদ্ধারের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইলে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৮ তারিখ-০৩/০৭/২০২১ ইং ধারা-৪০৬/ ৪১৭/ ৪২০/ ৪৬৮/ ৫০৬ দঃ বিঃ রুজু হয়।
যার কারণে যশোরের পুলিশ সুপার মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় অর্পন করলে, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শামীম হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ৪ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএম, এসআই চন্দ্র কান্ত গাইন, এসআই শামীম হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ০১টি চৌকস টিম আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি থেকে প্রতারকে আটক করে।
এ সময় প্রতারকের কাছ থেকে দশ লক্ষ সাতানব্বই হাজার নগদ টাকা, দুই লাখ ছিয়াআশি হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ৩ টি মোবাইল, বাদীর স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক, নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, দলিল, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস উদ্ধার করে।