বৃহস্পতিবার (৫ মে) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দাম নির্ধারণ করা হয়। সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাম সুপার তেলের দাম ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
সর্বশেষ রোজার মধ্যে গত ২০ মার্চ খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। সেই সঙ্গে ৫ লিটারের বোতলে দাম ৩৫ টাকা কমে ৭৬০ টাকা করা হয়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিনের তেলে দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে ঈদের কয়েকদিন আগ থেকে পাল্টাতে থাকে চিত্র। ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকার মুদি দোকানে সয়াবিন ও পাম তেলের দেখা পাওয়া যাচ্ছিলো না। হঠাৎ করে তেল উধাও হয়ে যাওয়ায় উপায় না দেখে অনেকেই বেশি দাম দিয়ে সরিষা, রাইস ব্রান কিংবা সূর্যমুখী তেল কিনতে বাধ্য হয়েছেন।
সর্বশেষ দোকানে দোকানে বোতলজাত তেলের গায়ে দাম লেখা থাকায় বেশি দামে বিক্রির বোতল ভেঙ্গে খোলা দামে বিক্রি শুরু করে। দাম বাড়ার বিষয়টি আচ করতে পেরে বাজার থেকে তেল উধাও হয়ে যায়। সবশেষে আগামী কাল থেকে তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে সাধারণ ক্রেতারা বলছে এটা ব্যবসায়ী ও কোম্পানিকে পুরস্কার দেয়া হলো।