পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসাসহ অন্তত ৩০ জন এ ঘটনায় আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসার সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সেখানে হামলা চালায়। এতে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি অংশ আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান নিলে অতর্কিত সেখানে লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা এসময় পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় আধাঘণ্টা লাঠিশোঠা নিয়ে মহড়া দেন যুবলীগ ছাত্রলীগের কর্মীরা।
পরে একই স্থানে জেলা আওয়ামী লীগ সমাবেশ করে। সেখানে দাবি করা হয় বিএনপি তাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে।
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা আইনজীবী সমিতির ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে আইনজীবী সমিতির ভবনে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা এবং সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন বলেন, তারা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়েই সেখানে সমাবেশ করছিলেন। তাদেরকে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, আপনারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এ হামলায় পুলিশ ও প্রশাসনের ইন্ধন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।