প্রত্যক্ষদর্শী আরমান জানান, ওই যুবক নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় চিৎকার করে বলছিলেন, ‘সবাই সরে যান। আমি গায়ে আগুন দেবো।’ তখন উপস্থিত লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা কিছু সময় চেষ্টা করে যুবকটিকে উদ্ধার করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান।
মামুন পুলিশকে বলেন, ‘আমার কেউ নেই। আমার স্ত্রী টাকাপয়সা নিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। আর ঘণ্টাখানেক পরই আমি আত্মহত্যা করব।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) শেখ আবুল বাসার জানান, মামুন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ কারণে তার প্রথম স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছেন। গতকাল তার দ্বিতীয় স্ত্রীও টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যান। এ অশান্তি থেকে ওই যুবক গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, ওই যুবককে শাহবাগ থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামুনের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তার পেশা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, ঘটনা তদন্তে মামুনের স্ত্রী উর্মির সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তিনি পুলিশকে বলেন, ‘মামুন আমাকে পিটিয়ে দুবার হাত ভেঙে দিয়েছে। চাপাতি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে আমাকে মারার জন্য। তার ভয়ে আমি অন্য জায়গায় চাকরি নিয়েছি।
টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মামুন যে অভিযোগ করেছে সব মিথ্যা। আমি চাকরি করে মামুনকে খাওয়াতাম। সে আমার টাকা নিয়ে নেশা করতে এখন নেশার টাকা দিই না বলে সে আমাকে মারার চেষ্টা করে।