1. admin@khoborakhobor.com : খবরাখবর :
প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই - খবরাখবর
শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২
শারমিন আক্তার শিলা
শারমিন আক্তার শিলা

অপারেশনের পর প্রসূতির পেটে গজ রেখেই সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। এতে রোগীর পেটের নাড়ি পচে গেছে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই নারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এমন অপারেশন কে করেছেন তা শনাক্তে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ১৬ এপ্রিল রাতে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার শিলা। অস্ত্রোপচারের পর থেকে পেটে ব্যাথা অনুভব করছিলেন তিনি। এ জন্য সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর শুরু হয় প্রচন্ড পেটে ব্যাথা। ফুলে যায় পেট। ২১ মে পেট ফুটো হয়ে পুজ বের হয়। তাৎক্ষণিক ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে ২২ মে পুনরায় অপারেশন করা হয়।

শারমিনের পিতা আব্দুর রব সিকদার বলেন, সরকারি হাসপাতালে মেয়ে এনে ভর্তি করিয়েছি সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ে মরতে বসেছে। এভাবে হলে মানুষ যাবে কোথায়? আমি বিচার চাই এই অপচিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারের।

তিনি বলেন, অপারেশনের পর যখন আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন শেবাচিম হাসপাতালেই দেখাই। সেখানে বলে নাড়ি প্যাঁচ পড়েছে। ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তারা নতুন করে ওষুধ দেন। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হন না। এক পর্যায়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে সেখানের চিকিৎসক জানান পেটে গজ রয়েছে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। শেষে হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করালে ২২ মে সকালে অপারেশন করা হয়। এখন কিছুটা সুস্থ তবে ঝুঁকিমুক্ত নন।

পুনরায় অস্ত্রোপচার করে গজ বের করা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক জানান, দীর্ঘদিন গজ থাকায় পেটের ভেতরে পচন ধরে নাড়ি ফুটো হয়েছে। অপারেশন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

© khoborakhobor.com All rights reserved
Designed by khoborakhobor@team