শুক্রবার ভোরে উপজেলার মাশিলা সীমান্তের গদাধরপুর বাওড়ে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বোনের ছেলে যশোর সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ মাশরেকুল ইসলাম জানান, রফিকুল ইসলাম ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি যশোর শহরে তার বাসায় ছাদ ঢালাইয়ের কাজ দেখতে আসেন।
‘তিনি আমাকে বলেন যে মামা আমি তো মায়ের কবর জিয়ারত করতে ভারতে যাব। কিন্তু আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমি তাকে বলি আমি ঢাকায় সচিবালয়ে যাচ্ছি। এসে তোমার পাসপোর্টের ভিসার বিষয়টি দেখব,’ বলেন মাশরেকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘পরে কাউকে না জানিয়ে তিনি গত বুধবার যশোর থেকে ঝিকরগাছায় তার ভাইয়ের মেয়ের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ভারতে খালাতো ভাই মোহনের সঙ্গে যোগাযোগ করে চৌগাছার সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে মোহন মোবাইলে জানিয়েছেন।’
ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘মাশিলা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে যায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাওড় পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। সে সময় পানিতে ডুবে মারা গেছেন।’
‘পরে দালালরা মরদেহ ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। ভারতে তার খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
ওসি আরও জানান, মৃত রফিকুল ইসলাম জনি ঢাকায় ব্যক্তিগতভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি করতেন। আজ শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন।