1. admin@khoborakhobor.com : খবরাখবর :
নৌকার প্রার্থী পেলেন মাত্র ৯৩ ভোট - খবরাখবর
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

নৌকার প্রার্থী পেলেন মাত্র ৯৩ ভোট

  • Update Time : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
নৌকার প্রার্থী পেলেন মাত্র ৯৩ ভোট
নৌকার প্রার্থী পেলেন মাত্র ৯৩ ভোট

চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হাসিনা বেগম নামে এক প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৯৩ ভোট।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে হওয়া নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পান তিনি। তিনি উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতীক নিয়ে এত কম ভোট পাওয়ায় এলাকায় চলছে সমালোচনা।

ঘোষিত ফলে জানা গেছে, ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ রানা বাবু পাইলট। মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ৪০৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জুয়েল চৌধুরী (আনারস) পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৭৮ ভোট। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবুল কাশেম আলী (হাতপাখা) ২২৬ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহফুজ রেজা (টেলিফোন) পেয়েছেন ৭৬ ভোট।

খাতামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নজু বলেন, ‘উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আজম আলী সরকারের স্ত্রী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি হাসিনা বেগমকে জেলার সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীমের সুপারিশে মনোনয়ন দেওয়া হয়। অথচ আমরা তৃণমূল থেকে প্রার্থী দিয়েছিলাম, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোখলেছুর রহমান সরকারের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা পাইলটকে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকারের ছোট ভাই।’

তার অভিযোগ, ‘তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে একজন অযোগ্য প্রার্থীকে নৌকা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের অনুরোধে বিদ্রোহী প্রার্থী করা হয় পাইলটকে। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।’

গতবার ইউনিয়ন নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই হাজার ৬০০ ভোট পেয়েছিল তিনি। এবার চেয়ারম্যান পদে নৌকায় তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯৩টি। অভিযোগ উঠেছে, হাসিনা বেগম ও তার স্বামী আজম আলীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এলাকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই।

ভরাডুবির বিষয়ে খাতামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন সরকার বলেন, ‘যিনি প্রার্থী হয়েছেন, তিনিই বলতে পারবেন তার ভরাডুবির কারণ কী? তাকে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তৃণমূলের সেখানে কোনও মতামত ছিল না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে একমাত্র পাইলটকে প্রার্থিতা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা এই ইউনিয়নে ২৭ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি নিজেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। গত দুই মেয়াদে উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। সেখানে আমার ছোট ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।’

প্রার্থী হাসিনা বেগমের দাবি, ‘দলীয় নেতাকর্মীরা দিনের বেলা লোক দেখানো নির্বাচন করে আমার পক্ষে, আর রাতের বেলা তারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে। এ জন্য আমার ভরাডুবি হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

© khoborakhobor.com All rights reserved
Designed by khoborakhobor@team