রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম জানান, গত ২৩ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগম রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা ওয়ালা অস্বাভাবিক কন্যা শিশুর জন্ম দেন। এটাই সেকেন্দার-আফরোজা দম্পতির তার প্রথম সন্তান।
তিনি আরও জানান, শিশুটিকে শিশু সার্জারি বিভাগে এবং মাকে রাখা হয়েছে গাইনী ওয়ার্ডে। এ ধরনের নবজাতক জন্ম হওয়া অস্বাভাবিক। শিশুটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। এখানে এ ধরনের শিশুর চিকিৎসা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবজাতকের পিতা সেকান্দার আলী পেশায় একজন মুদির দোকানি। আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায় তার পক্ষে চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
নবজাতকের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, সাত মাস থাকতেই আলট্রাসনোগ্রাম করে এ ধরনের একটি দুই মাথা ওয়ালা শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত হই। পরে কুড়িগ্রামে সিজার করার ব্যাপারে চিকিৎসকরা সাহস না পেলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রংপুরে গত শনিবার রাতে আমার স্ত্রী দুই মাথাওয়ালা কন্যা শিশু জন্ম দেয়। এখন আমি চাই সুচিকিৎসা। যেখানেই হোক চিকিৎসা করিয়ে যেন আমার কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। আমি সামান্য মুদি দোকানদার আমার পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব নয়। আমি সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।