জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা। তাদের বাবা ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে দুই প্রার্থীকে নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা।
তারা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মৃত আকবর আলী শাহের বড় ছেলে তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার শাহ (আনারস প্রতীক) ও তার ছোট ভাই জমির উদ্দীন শাহ বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন (মোটরসাইকেল প্রতীক)।
এর আগে ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচনে তারা প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে বড় ভাইয়ের কাছে হেরে যান ছোট ভাই। মাঝখানে ছোট ভাই প্রার্থী না হলেও এবার প্রার্থী হয়েছেন।
স্থানীয় ভোটার কাদের আলী বলেন, দুই ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছি। এর আগেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ওই সময়ে বড় ভাই জিতে যান। গতবার ছোট ভাই নির্বাচন করেননি। বড় ভাই নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এবার আবারও দুই ভাই নির্বাচন করছেন। দেখি এবার কে জিতেন।
ওই এলাকার ভোটার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পারিবারিকভাবে তাদের সুনাম রয়েছে। একভাই তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। ছোট ভাই শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। ফলে তাদের উভয়ের সুনাম আছে। বাবা ছিলেন জনপ্রতিনিধি। তবে দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না এলাকার ভোটাররা।
আব্দুল জব্বার শাহ বলেন, ‘আমার বাবা জনপ্রতিনিধি ছিলেন। বাবার মতো আমিও মানুষের পাশে ছিলাম এবং আগামীতে থাকতে চাই। তিনবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সফলভাবে জনসেবা করায় জনগণ আমাকে দাঁড় করিয়েছেন। জনগণের সেবা করাই আমার লক্ষ্য।’
শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য আছে। আমার বাবা জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবা করেছেন। কিন্তু বাবা ও পরিবারের সম্মান নষ্ট করেছেন বড় ভাই। তাই পরিবারের সুনাম ও জনসেবা অব্যাহত রাখতে আমি প্রার্থী হয়েছি। এর আগেও প্রার্থী হয়ে হেরেছিলাম।’
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই ছাড়াও এই ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদ শাহ (নৌকা প্রতীক) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (ঘোড়া প্রতীক)।
খানসামা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিকরুল হক বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার জন। ২১ হাজার ৮৩০ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।