গত ১৮ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী রূপনগর এলাকার বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে আর ফেরেনি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এর কয়েকদিন পর র্যাব-৪ কেও তিনি ঘটনাটি জানান। র্যাবের একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। তারা গত ২০ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে ২১ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব-৪।
অপহরণের সঙ্গে জড়িত মো. তারেক (২০) গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বর্তমানে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারেক আরও জানায়, অপহরণকারীরা একটি টিকটক গ্রুপের সদস্য। দুই বছর আগে এই অ্যাপের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। চক্রটিতে পাঁচ-ছয় জন সদস্য আছে যারা ঘন ঘন লাইভে এসে একে অপরের সঙ্গে বাক্য বিনিময় এবং তথ্য আদান-প্রদান করে। তারা স্কুলপড়ুয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালিত করতো।
নিখোঁজ হওয়ার দিন অপহৃত ভুক্তভোগী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয় এবং গ্রেফতার হওয়া তারেক বিভিন্ন প্রলোভনে ভুলিয়ে তাকে ঢাকার রূপনগর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে লঞ্চে করে চাঁদপুর ও পরে লক্ষ্মীপুর নেওয়া হয় মেয়েটিকে।
ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে খুঁজে পেতে পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছে বলে জানতে পেরে লক্ষ্মীপুর থেকে কক্সবাজার গিয়ে হোটেলে অবস্থান করে অপহরণকারীরা। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।