গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে শহরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এই শিশুটির (ছেলে) জন্ম হলে রাত ৯ টার দিকে হাসপাতালে মারা যায়।
শিশুর পিতা ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের আমিন ও মা মুসলিমা আক্তার।
শিশুর নিকট আত্মীয় বলেন, প্রথম দিকে শিশুটির মা মুসলিমাকে একবার আল্ট্রাসনো করিয়েছিলাম। তখন ডাক্তার জানিয়েছিল, মা ও বাচ্চা ভালো আছে। ৯ মাস পার হওয়ায় আবার আল্ট্রাসনো করি। তখন ডাক্তার বলেন জমজ বাচ্চা হবে।
এর পর শিশুর মা মুসলিমাকে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখান থেকে আমাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর পর যশোরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকি ভর্তি করি।
সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে সিজারের পর দেখি জোড়া মাথাসহ বাচ্চা। যশোর জেনারেল হাসপাতলের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক ফয়সাল আহম্মেদ জানান, জোড়া মাথার শিশুটিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করি । কিন্তু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার আগেই রাত ৯ টার দিকে শিশুটির মুত্যু হয়।