সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চুল কাটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ভোলার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ‘সুন্নতি কাটিং ও আর্মি কাটিং’ ছাড়া অন্য কোনো স্টাইলে চুল কাটলে সেলুন মালিক ও কারিগরদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
জেলার চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি দেন।
চেয়ারম্যান বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলে ২৫ অক্টোবর নোটিশ জারি করেছি। তবে কতটুকু সঠিক করেছি বা ভুল করেছি আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।“
তবে ‘সুন্নতি কাটিং’ বা ‘আর্মি কাটিং’ কেমন হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এক কিশোরকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে এলাকার এক কিশোরের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তবে আমি তা মিটমাট করে দিয়েছি।”
তবে কিশোরকে মারধরের কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নোমান রাহুল বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যান এ রকম নোটিশ জারি করতে পারেন না। এতে তিনি মানুষের রুচিশীলতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছেন।”
গত ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দিন হাওলাদার।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে।
সে ঘটনায় আন্দোলনের মুখে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তিনটি প্রশাসনিক পদত্যাগ করেছেন। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের কমিটি। সিন্ডিকেট সভায় ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ফারহানার স্থায়ী অপসারণ।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষার্থীদের সমঝোতা বৈঠকে ফারহানা ইয়াসিমন বাতেনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।