1. admin@khoborakhobor.com : খবরাখবর :
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ঘুষ দাবি কুষ্টিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে - খবরাখবর
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০১:২৪ অপরাহ্ন

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ঘুষ দাবি কুষ্টিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে

  • Update Time : বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ঘুষ দাবি
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ঘুষ দাবি

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ঘুষ দাবি কুষ্টিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। কুষ্টিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল।

২১ জুন মঙ্গলবার জমি রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রার অফিসের পিয়নরা তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

বিএম আব্দুর রাফেল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে একটি দলিলের জন্য তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহের কার্যালয়ে যান। জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন তার বড় ভাই ও ব্যাংক কর্মকর্তা।

রেজিস্ট্রির পর অফিসের ক্লার্ক মুকুল ও পিয়ন আক্কাস তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। তখন ৩০ হাজার টাকার রসিদ চাইলে তারা জানায়, কোনো রসিদ দিতে পারবে না তারা। সে সময় পরিচয় দিয়ে কার্ড দেখালে তারা এ জন্য পাঁচ হাজার টাকা কমিয়ে ২৫ হাজার টাকা দিতে বলে।

আব্দুর রাফেল নিজের পরিচয় দিলেও পিয়নরা তাদের দাবিতে অটল থাকে। এমন পরিস্থিতির একপর্যায়ে তার বড় ভাই ১০ হাজার টাকা দিয়ে কাজ সারেন। পরে আব্দুর রাফেল ফেসবুকে ঘটনাটি প্রকাশ করলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর তাকে ফোন দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেন কর্মকর্তারা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ জানিয়ে বলি, আমি জমি রেজিস্ট্রি করব না। তখন আক্কাস বলে, জমি রেজিস্ট্রি না করলে না করেন। সে সময়ে আমি তাদের সঙ্গে তর্ক করলেও তারা আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে কাজ করে।

’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিচয় দেওয়ার পর আমাকে ছাড়েনি। তাহলে সাধারণ জনগণ কীভাবে ভোগান্তির শিকার হয়, তা সহজেই বোঝা যায়।’ পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা সরকারি অফিস। পরিচয় দেওয়ার পরও তারা টাকা দাবি করে। আমি খুবই মর্মাহত বিষয়টি নিয়ে। এটার একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।’

পরে বিষয়টি ফেসবুকে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। ঘটনাটি জানাজানির পর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও দলিল লেখকরা বৈঠক করেন।

এরপর আব্দুর রাফেলকে ফোন দিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং টাকা ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানান তারা। পরে তিনি টাকা ফেরত না নিয়ে ঢাকা চলে যান।

রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, এটি ব্যাংকের মর্টগেজ দলিল। ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখভাল করেন। এটির জন্য টাকা নেওয়ার কথা নয়। তারপরও অফিসের কয়েকজন স্টাফ টাকা দাবি করে। এটার সঙ্গে দলিল লেখকদের কোনো সম্পর্ক নেই।

কুষ্টিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ বলেন, ‘বিএম আব্দুর রাফেল জমি রেজিস্ট্রি করতে আমার দপ্তরে এসেছিলেন। আমি তার কাজ দ্রুত করে দিয়েছি। তার কাছে কয়েকজন টাকা চেয়েছিল বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

© khoborakhobor.com All rights reserved
Designed by khoborakhobor@team