মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিয়াদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী কিশোরের পরিবার সূত্র জানায়, একই এলাকার খলিল লপ্তির ছেলে ভ্যানচালক নুরু লপ্তির সঙ্গে সখ্য ছিল ওই কিশোরের। নুরু লপ্তির ভ্যানে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতো মাদারীপুরের মঠেরবাজার এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের জুঁই ও তার দলবল। ভ্যানচালকের সূত্র ধরে জুঁইয়ের সঙ্গে ওই কিশোরের পরিচয় হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) কিশোরকে চিকিৎসার কথা বলে নুরু লপ্তিকে দিয়ে খুলনা জেলার একটি হাসপাতালে পাঠান জুঁই। সেখানে নিয়ে তাকে অচেতন করে তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। ঘটনার পর জ্ঞান ফিরলে বাসায় যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে ওই কিশোর। শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নুরু লপ্তি তাকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় ফেলে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ওই কিশোর বলে, ‘চিকিৎসার নাম করে নুরু নপ্তি ও জুঁই হিজড়া আমার সর্বনাশ করেছে। আমার মতো আর কোনো ভাইয়ের যেন এমন ক্ষতি না হয়। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত জুঁই ও ভ্যানচালক নুরু লপ্তি। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। এজন্য তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কিশোরের পরিবার।