1. admin@khoborakhobor.com : খবরাখবর :
বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যা করলো ছোট ভাই - খবরাখবর
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

বড় ভাইকে গলা কেটে হত্যা করলো ছোট ভাই

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১
ছোট ভাই আটক মনজুর আলম
ছোট ভাই আটক মনজুর আলম

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অর্থ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাইকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে তার ছোট ভাই। প্রবাসী মনজুর আলম (৩০)। সোমবার মধ্যরাতে হাটহাজারী পৌরসভাধীন উত্তর মিরেরখিল খন্দকার পাড়াস্থ নুরজাহান ভিলায় এ ঘটনা ঘটে।

বড় ভাই মোহাম্মদ এরশাদ (৩৫)কে হত্যা করে ছোট ভাই প্রবাসী মনজুর আলম (৩০)। তারা হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের পেশকারহাটস্থ ফকির ডাক্তার বাড়ির মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি হাটহাজারী কাচারি সড়কস্থ এন জহুর কমপ্লেক্সের নিচতলায় নিম কসমেটিকস নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।

অর্থ সংক্রান্ত বিরোধ ও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে বড় ভাই এরশাদকে খুন করেছেন জানিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছোটভাই মনজুর আলম।

পুলিশ ও নিহত এরশাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে এরশাদ এবং তার ছোট ভাই প্রবাসী মনজুর আলম মিলে মীরেরখিল এলাকায় জায়গা কিনে নুরজাহান ভিলা নামের একতলা বাড়িটি তৈরি করেন। মনজুরের পরিবারও একই ভবনে থাকেন। ভবন তৈরিতে খরচের টাকা মনজুর আলমের তুলনায় এরশাদ কিছুটা কম দেন। এছাড়া পরিবারের জন্য মনজুর আলম এরশাদের কাছে টাকা দিলেও তার যথাযথ হিসাব পাননি। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল।

গত শুক্রবার মনজুর আলম ওমান থেকে দেশে ফেরেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা দুই ভাই ভবন তৈরির হিসাব ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলেন। তখন এরশাদের স্ত্রী রহিমা তার কন্যাসন্তান মীমকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে চোর এসেছে বলে কৌশলে এরশাদকে ভবনের ছাদে পাঠায় মনজুর। পেছনে পেছনে মনজুরও সেখানে গিয়ে এরশাদকে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে রহিমা ও মনজুরের স্ত্রী আঁখি ছাদে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় এরশাদ মাটিতে পড়ে আছে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ডাকাত এসে এরশাদকে খুন করেছে বলে প্রচার করে মনজুর।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এরশাদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় এ সময় এরশাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সেখানে তিনি পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে খুনের দায় স্বীকার করেন। মামলা হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


নিহত এরশাদের স্ত্রী রহিমা বেগম সমকালকে বলেন, ভবন তৈরিতে ব্যয় করা অর্থ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মনজুর আলম আমার স্বামীকে গলা কেটে খুন করেছে। আমি খুনী মনজুরের ফাঁসি চাই।

হাটহাজারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব শর্মা বলেন, সোমবার রাতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অর্থ সংক্রান্ত বিরোধ ও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে মনজুর আলম তার বড়ভাই এরশাদকে খুন করে জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

© khoborakhobor.com All rights reserved
Designed by khoborakhobor@team