সোমবার (৫ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৪ জুলাই) খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, মৃতদের মধ্যে বিভাগের খুলনার ১৩ জন, বাগেরহাটের দুজন, যশোরের ছয়জন, মাগুরার একজন, ঝিনাইদহের পাঁচজন, কুষ্টিয়ার ১৭ জন, চুয়াডাঙ্গার দুজন ও মেহেরপুরের পাঁচজন রয়েছেন।
এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন খুলনার ২৩৯ জন, বাগেরহাটের ১২১ জন, সাতক্ষীরার ১০২ জন, যশোরের ২৮৬ জন, নড়াইলের ৭০ জন, মাগুরার ৩৪ জন, ঝিনাইদহের ৮৬ জন, কুষ্টিয়ার ২৯২ জন, চুয়াডাঙ্গার ১৫২ জন ও মেহেরপুরে ৮৮ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং এই রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।
এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই নারী, বয়স ৪৫ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে একজন নড়াইলের লোহাগড়া, একজন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এবং অপর চারজন যশোরের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও দশজন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছয় নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ডে (রেড জোনে) ভর্তি ছিলেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও ডা. আরিফ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের রেড জোনে আজ মোট ভর্তি রয়েছেন ১২৬ জন। আর ইয়েলো জোনে আছেন ৮৬ জন। এদিকে, আজ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে করোনার টেস্টে ১৮৬ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া গেছে। যশোরের ৪৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া যায়। আজ শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৭৯।