এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার টিকা দেওয়ানোর জন্য উপজেলার কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের ৭৮ জন ছাত্রীকে কেশবপুর হাসপাতালে আনেন। ছাত্রীদের টিকা দেওয়া শেষে বাসে ফেরার পথে পাঁজিয়া এলাকায় বখাটেদের সঙ্গে বাস চালকের মধ্যে কথাকাটিকাটি হয়। পরে বখাটেরা বাস আটকিয়ে দিয়ে গাড়িতে ঢুকে চালককে মারধর করতে থাকে। চালককে মারধর করতে থাকলে শিক্ষকরা বাধা দিলে বখাটেরা শিক্ষকসহ ছাত্রীদের এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে। বখাটেদের হামলায় বিদ্যালয়ের ৬ ছাত্রী ও এক গ্রাম পুলিশ লিয়াকত আলী আহত হন। এরমধ্যে আহত জুঁই বিশ্বাসের ডান পা ভেঙ্গে গেছে। তাকে হাসপাতাল থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ করানো হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মলয় ব্রম্ম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে।
প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার ব্রহ্ম বলেন, বখাটেদের হামলায় বিদ্যালয়ের ছাত্রী জুই বিশ্বাস, ইয়াসমিন, প্রিয়া মন্ডল, সাথী বাইন, সিনথিয়া খাতুন, রুবাইয়া খাতুন, শ্রাবণী মন্ডল, তহমিনা খাতুনসহ ২০ জন ছাত্রী আহত হয়েছে। এর মধ্যে আহত জুই বিশ্বাসের ডান পা ভেঙ্গে গেছে। তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ করানো হয়েছে। এছাড়া ওই হামলায় বাসে ছাত্রীদের সঙ্গে থাকা শিক্ষক উজ্জল বৈরাগী, মহেন্দ্র নাথ বাইন ও রাখি ঢালী আহত হন। হামলার সময় পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ লিয়াকত আলী ঠেকাতে এগিয়ে এলে তাকেও বখাটেরা মারপিট করে আহত করে।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশ কর্মকর্তা এসআই তাপস জানান, ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দীন বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পাঁজিয়া এলাকার এখলাছ ও খায়রুল ইসলাম নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।