বিজেপি’র এসব দাবিকে রাজনৈতিক চাল হিসেবেই দেখছে বিরোধী শিবির। তাদের অভিযোগ, ভারতের নাগরিকদের দৈনন্দিন সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই নাম বদলের এ কৌশল গ্রহণ করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্ল্যাকার্ড হাতে উপস্থিত হন কুতুব মিনারের সামনে। ইউনেসকো’র ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ তকমাপ্রাপ্ত এই স্থাপত্যের নাম বদলের দাবিতে স্লোগানও দেয় তারা। এ সময় হনুমান চালিসাও পাঠ করেন তারা। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে।
শুধুমাত্র এই দুই স্থাপনাই নয়, দিল্লির বেশ কিছু রাস্তার নাম বদলেরও দাবিতেও সরব দিল্লি বিজেপি।
উত্তর দিল্লি পৌরসভাকে চিঠি লিখে দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্ত জানিয়েছেন, শাহজহান রোড, তুঘলক রোড, আকবর রোড, আওরঙ্গজ়েব লেন, হুমায়ুন রোড -এর নাম পরিবর্তন করতে হবে। তার দাবি, মুঘল আমলে দাসত্বের প্রতীক স্বরূপ এই রাস্তাগুলোর নাম পরিবর্তন করা হোক।
এদিকে দিল্লি বিজেপি জানায় পরামর্শ, তুঘলক রোডের নাম বদলে করা হোক গুরু গোবিন্দ সিংহ মার্গ। এছাড়া আকবর রোড, আওরঙ্গজ়েব লেন, হুমায়ুন রোড, শাহজহান রোডের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে মহারানা প্রতাপ রোড, আব্দুল কালাম লেন, মহর্ষি বাল্মীকি রোড এবং জেনারেল বিপিন রাওয়ত করা হোক। এর পাশাপাশি বাবর লেনের নাম পাল্টে ক্ষুদিরাম বসুর নামে রাখা হোক।
এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারপর থেকেই একের পর এক জায়গার নাম বদলে দিয়েছে মোদি সরকার।
উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ। রেস কোর্স রোডের বদলে নাম হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ। ফৈজ়াবাদ স্টেশনের নাম হয়েছে অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট। মোগলসরাই জংশনের নতুন নাম পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন।
তবে দেশটির ইতিহাসবিদ ও বিরোধী শিবিরের নেতারা বলছেন, মুঘল আমল এবং ঔপনিবেশিক জমানার নাম বদলের পিছনে রয়েছে বিজপি’র সংকীর্ণ রাজনীতি।