জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম এ ঘোষণা দিয়েছেন।
আলোচনা ও কর্মীসভায় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলছেন, ‘কর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। মারামারি করে মেডিক্যালে ভর্তি হলে সম্পূর্ণ খরচ আমি বহন করবো। এমনকি সংসারের চাল-ডালসহ যাবতীয় খরচ দেবো। আমি আছি, আপনারা ভয় পাবেন না।’
আগামী ২৩ ডিসেম্বর সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন নির্বাচনি আলোচনা সভা, কর্মীসভা ও উঠান বৈঠকে এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি সিরাজদিখান থানা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।
বিভিন্ন সভায় সাইফুল ইসলাম বলছেন, ‘এমন কেউ নেই যে আমার কর্মীদের ফুলের টোকা দেবে। কারণ, সাইফুল চেয়ারম্যানকে সবাই ভালো করে চেনে। আপনারা আমার কর্মী হয়ে নির্বাচন করবেন।’ যে বক্তব্যের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।
এসব বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো আমি বলেছি কারণ, ১৯৮৭ সালে নির্বাচনের সময় গোলাগুলিতে তিন জন মারা যায়। পরবর্তীতে সেই তিন পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করেছে। নির্বাচনি সভায় কিছু কর্মী এ বিষয়টি আমার নজরে আনলে এসব কথা বলি। আমার কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা যদি আমার পাশে থাকে তাহলে আমিও তাদের পাশে থাকবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এতে কর্মীদের মধ্যে কোনও উসকানি কাজ করবে এবং তারা মারামারি বা সংঘর্ষে উৎসাহিত হবে। তাছাড়া, এখানে কোনও উত্তেজনা বিরাজ করছে না। নির্বাচনি পরিবেশ ভালো। এখানে কোনও সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ বলেন, বিধি মোতাবেক তিনি (সাইফুল ইসলাম) এখনও প্রার্থী নন। কাজেই তিনি এখন কি বক্তব্য দিচ্ছেন তা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই। বিধি মোতাবেক প্রার্থী হওয়ার পর এমন বক্তব্য দিলে প্রমাণ সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতো।