সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিপুল মুনাফা অর্জন করছিল উৎপাদনকারীরা। কিন্তু ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ভোক্তারা। অবশেষে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম এখন প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। যা গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম।
জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান রিস্ট্যাড এনার্জির তেল বাজারপ্রধান বিজোরনার টনহাউজেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। তারা নিজেদের দেশের সংরক্ষিত (রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দিয়েছে। যা দাম কমাতে সহায়তা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, ডিসেম্বরে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বাজারে আসবে। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে আসতে পারে। আবার আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার বৃহত্তর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমেও আসতে পারে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। চলতি মাসেই ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। ফলে বাড়াতে হয়েছে গণ পরিবহনের ভাড়াও। এছাড়া ভোজ্য তেলের দাম আগে থেকেই বাড়তি। কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে দাম কমায় বাংলাদেশে কি হবে তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।