আলেশা মার্টে অনেক গ্রাহক অর্ডার করে পন্য ডেলিভারি না পাওয়ায় প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করে। এক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় সে কলেজ ছাত্র, কলেজে যাবার জন্য সে একটি বাইক অর্ডার করেছিল আলেশামার্টে কিন্তু পন্য বুঝে না পাওয়ায় সে যোগাযোগ করলে তাকে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করে আলেশামার্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে তিন দিন ধরে তাদের বনানী কার্যালয়ে আসছে কিন্তু কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর দেখা পাচ্ছে না।
অনেকে টিভি ফ্রিজ সহ অনেক দামী পন্য অর্ডার করে না পাওয়ায় এসে ভিড় করছেন তাদের কার্যালয়ে। তবে সবাই ফিরছেন খালি হাতে। অনেকে মুল্য ফেরত বাবদ চেক পেয়েছেন কিন্তু ব্যাংকে টাকা না থাকায় চেক প্রত্যাখাত হয়েছে। এই অবস্থায় গ্রাহকেরা তাদের প্রধান কার্যালয়ে ভিড় করলে তারা প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগীরা গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হলেও সময় মতো পণ্য দেয়া হয়নি। এখন টাকা ফেরত চাইলে চেক ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু একাউন্টে টাকা না থাকায় ব্যাংক থেকে চেক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বার বার।
গ্রাহকদের চাপে পড়ে বনানীর কার্যালয়ে নোটিশ টানিয়ে গ্রাহকদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে তেজগাঁওয়ের নাসরিন টাওয়ার অফিসে। অথচ সেখানেও যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মুঠোফোনে অনেক যোগাযোগের পর অনেক গ্রাহকে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদার আশ্বাস দিচ্ছেন টাকা ফেরত দেয়ার। সেটা কতটা বাস্তব বা সম্ভবকিনা আদৌ তা নিয়ে গ্রাহকরা সন্দিহান।
অনেক গ্রাহক এখন আলেশামার্টের বিরুদ্ধে মামলা করার চিন্তা করছেন। আলোচিত ইভ্যালির মত একই মডেল এ ব্যবসা শুরু করে আলেশামার্ট। নানা রকম চটকদার বিজ্ঞাপন মুল্যছাড় দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে ফাঁদে ফেলে আলেশামার্ট। জানা গেছে, প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক ৪৫০ কোটি টাকা পাবে আলেশা মার্টের কাছে।