1. admin@khoborakhobor.com : খবরাখবর :
যশোরে ইয়াসিন হত্যাকান্ডের রহস্য ১২ ঘন্টার উদঘাটন, আটক ৪ - খবরাখবর
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

যশোরে ইয়াসিন হত্যাকান্ডের রহস্য ১২ ঘন্টার উদঘাটন, আটক ৪

  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
যশোরে ইয়াসিন হত্যাকান্ডের রহস্য ১২ ঘন্টার উদঘাটন, আটক ৪
যশোরে ইয়াসিন হত্যাকান্ডের রহস্য ১২ ঘন্টার উদঘাটন, আটক ৪

যশোরে ইয়াসিন আরাফাত হত্যাকান্ডের রহস্য ১২ ঘন্টার ব্যবধানে উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। পাশাপাশিল হত্যার সাথে জড়িত চার আসামিকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা, চাকু ও মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, শংকরপুর আকবরের মোড় এলাকার তোরাব আলীর তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান স্বর্ণকার রানা, রুবেল হোসেন ও হাফিজুর রহমান, একই এলাকার সাবেক ভাড়াটিয়া ও পাবনা জেলার ইশ্বরদি উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের শান্ত।

এ চার আসামিদের মধ্যে রানা ও রুবেলকে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার শিরোমনি লিন্ডা ক্লিনিক থেকে আটক করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে কোনোয়ালি থানায় এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর আরও দুই আসামিকে রাত ১০টায় শিরোমনি থেকে আটক করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা শুক্রবার রাত ১টা ৫ মিনিটে শংকরপুর চাতালের মোড় এলাকা থেকে ফেলে রাখা দুইটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে রাস্তার পাশের একটি ড্রেন থেকে হাফিজুরের ব্যবহৃত দা ও শান্তর ব্যবহৃত একটি চা পাতি উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে হাফিজুর ও শান্তকে যশোর আদালতে সোপর্দ করেন। বাকি দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মা্মলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম(পিপিএম) জানান, তারা সকলেই হত্যায় জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন।

আসামিরা জানিয়েছে, ইয়াসিন বিভিন্ন সময় আসামিদের হুমকি ধামকি দিতেন। ইয়াসিনের ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়াও ছিলেন। ফলে তারা ইয়াসিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাফিজুর ও শান্ত আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান।

পলাতক আসামিরা হলেন, শংকরপুর কবরখানা এলাকার খবির আলী শিকদারের ছেলে জীবন সিকদার, একই এলাকার সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে শফিক, চোপদারপাড়া আকবরের মোড় এলাকার ময়না, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বদিউজ্জামান ধনি, আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম। এছাড়া মামলায় আরও ৫-৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তার এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ার কারনে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইয়াসিন আরাফাতকে ধারালো অস্ত্র দা দ্বারা কুপিয়ে ও চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত করে হত্যা করে।

মামলায় বাদী উলে­খ করেন, আসামিদের সাথে ইয়াসিনের বিরোধ ছিলো। আসামিরা ইয়াসিনকে হত্যার হুমকিও দিতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

© khoborakhobor.com All rights reserved
Designed by khoborakhobor@team