মৃত স্কুলছাত্রী ওই গ্রামের শুকুর আলী মণ্ডলের মেয়ে এবং বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করে মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৬টার দিকে ওহিদুল ইসলাম নামের এক কৃষক মাঠে পেঁয়াজবীজের জমি দেখতে গিয়ে দেখেন তার জমির আমগাছের সঙ্গে কী যেন ঝুলছে। কাছে গিয়ে একই গ্রামের স্কুলছাত্রী লাকীর মরদেহ দেখতে পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
স্কুলছাত্রীর মা ছালেহা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সদু জোয়ারদারের ছেলে মারুফ জোয়ারদারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রাত ৩টার দিকে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি।
তিনি বলেন, সকাল ৬টার দিকে ওহিদুল ইসলাম এসে খবর দেন মেয়ের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলছে। আমার মেয়ের হত্যার পেছনে মারুফ রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মারুফ জোয়ারদার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমার চাচা-ভাতিজির সম্পর্ক ছিল। ওদের বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে জানাশোনা ছিল। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।