কোভিড পরিস্থিতি কমতে শুরু করায় আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে জ্বালানী তেলের বাজার। কয়েক মাসে এই দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যার পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারেও বাড়ে জ্বালানী তেলের দাম। কিন্তু এখন আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পড়ে যাচ্ছে দাম।
এখন ব্রেন্ট ব্রেন্ট ক্রুড ( তেলের মানদণ্ড ) অনুযায়ী তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭৮ দশমিক ৮১ ডলার। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ( ডব্লিউটিআই ) দাম প্রতি ব্যারেল ৭৫ দশমিক ৮২ ডলার। ১ অক্টোবরের পর ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসে দাড়িয়েছে। যেটা সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থা।
কোভিড চলাকালীন ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর এই বার প্রথম টানা চার সপ্তাহ তেলের দাম কমল।
এছাড়াও আরও কিছু কারণে তেলের দাম কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটা হলো, ইউরোপে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ও পঞ্চম ঢেউয়ের হানা দিতে যাচ্ছে। অস্ট্রিয়ায় লকডাউন আরোপ করা হয়েছে, জার্মানি, রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ফরাসি মহামারি বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে বলেছেন, পঞ্চম ঢেউ আসন্ন। এতে ইউরোপে আবার চাহিদা কমে যাবে। তখন তেলের দাম আরওকমে যাবে, এমনটাই আশা বিশ্লেষকদের।
এখন দেশের বাজারে জ্বালানী তেলের দামে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব কেমন পড়বে সেটাই দেখার বিষয়। জ্বালানী উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলে দাম বাড়ায় দেশেও সেটা সমন্বয় করা হয়েছে, দাম কমলে দেশের বাজারেও কমবে।