প্রাপ্ত ফলাফল মতে, নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৩শ’ ৭৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন কম্পিউটার প্রতীকে ৬ হাজার ১শ’ ২৬ ভোট পেয়েছেন। আর জগ প্রতীকে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক (বহিস্কৃত) সেলিমুল হক সালাম ১৯ শ’, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রেলইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ১শ’ ৩০ ভোট, আমিনুল কাদির নারকেল গাছ প্রতীকে ১ হাজার ৩৫, ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ৬২৪ ভোট ও জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ৩৩ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে সকাল আটটায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সীমানা জটিলতার কারণে দ্বিতীয়বারের মতো এ পৌরসভায় নির্বাচন হলো। এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় পৌরসভা জুড়েই উৎসবের আমেজ ছিল।
পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, দীর্ঘদিন পর ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। সকাল থেকেই ভোটাররা সারিতে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছে। সকাল থেকেই পুরুষদের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি বেশি। তবে, ইভিএমে ভোট গ্রহণে বয়স্কদের কিছুটা দেরি হলেও তরুণদের সমস্যা হয়নি।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক জানান, দীর্ঘ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬৬ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৮ জন প্রতিদ্বিন্দ্বতা করেন। ১৪টি ভোটকেন্দ্রের ৮৬টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৯ দশমিক ৪৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ঝিকরগাছা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ২ এপ্রিল। ওই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল। সীমানা জটিলতা কাটিয়ে ২১ বছর পরে পুরাতন সীমানায় নির্বাচনের জন্য গত ৩০ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়।