এক নববিবাহিত নারীকে চেতনানাশক খাইয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সোবহান মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গ্রামের মাতুব্বরদের কাছে বিচার চেয়ে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিলে শনিবার (১৪ মে) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা নেয় পুলিশ। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত সোবহান।
তিন মাস আগে বিয়ে হওয়া ওই গৃহবধূ দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানান তার স্বজনেরা। তাদের দাবী, গত রোববার (৮ মে) রাতে প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি সোবহান মিয়া ওই নারীর স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কোমল পানিয়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে তাকে ঘরে পৌঁছে দেয়ার নাম করে তার ঘরে ঢোকেন।
এরপর স্বামী অচেতন হয়ে পড়লে ওই নারীর মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
স্বজনরা আরও জানান, রাত আড়াইটার দিকে ধর্ষক সোবহান পালিয়ে গেলে ওই গৃহবধূ বাড়ী অন্যান্য ঘরের স্বজনদের ডেকে সব ঘটনা জানান। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে পরদিন হাসপাতালে নেয়া হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার বিচারের আশায় গ্রাম্য মাতুব্বরদের কাছে কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করেও কোনো ফল না পেয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ করেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম জানান, এ ঘটনায় ১৪ মে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।